এশিয়ার মেসি

প্রথম প্রকাশঃ ডিসেম্বর ৩, ২০২২ সময়ঃ ১২:৩৮ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:৩৮ পূর্বাহ্ণ

ক্রীড়া ডেস্ক

রিসটু ডোয়ান, বয়স ২৮, জন্ম ১৬ জুন ১৯৯৮ সালে জাপানে। ইনি হলেন জাপান জাতীয় ফুটবল দলের অন্যতম তারকা ফুটবলার। জাপানের অ-১৬ ফুটবল দল দিয়ে যাত্রা শুরু করেন, আর এরপর অ-১৯ দলে প্রবেশ করে নিজেকে এগিয়ে নেবার বার্তাই দিয়েছেন রিসটু। ২০১৭ সালে অ-২০ আর ২০১৯-২১ সালে অ-২৩ আর ২০১৪ সালে জাতীয় দলে ডাক পেলেন। ক্যারিয়ারে ৩২ ম্যাচে গোল দিলেন ৫টি। আর এ বিশ্বকাপে তিনি করেছেন ২ গোল।

কাতার বিশ্বকাপে এশিয়ার ফুটবল প্রতিনিধিকারী দল গুলোর মধ্যে আলাদা করে যদি কারও নাম বলার মতো হয়, তিনি হলেন এই রিসটু ডোয়ান। যার খেলা দেখে চলতি বিশ্বকাপের তুলনা মুলক বিচারে রিসটু ডোয়ানকে এশিয়ার মেসি খ্যাতাব দেয়া যায়। বা সহজ ভাষায় রিসটু হলেন এশিয়ার মেসি।

এটা বলার কারণও আছে, প্রথম পর্ব শেষ হয়ে গেছে কাতার বিশ্বকাপে। প্রথম পর্বে যতো আলোচনা সেই তিন তারকা মেসি, রোনালদো আর নেইমারকে ঘিরে। অথচ আসরে নেইমার, মেসিকে সেভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে দেখা গেল না। যেমনটা দুই তারকা নিজেদের উপস্থাপন করেন ক্লাব পর্যায়ে।

যদিও খানিকটা ভিন্ন রোনালদো, পুর্তগালের অধিনায়ক নিজে খেলেছেন এবং দলকে খেলিয়েছেন। তবে তার নামের তারকা খ্যাতির সঙ্গে তুলনা করার মতো খেলা খেলতে ব্যর্থ সিআর সেভেন।

এখানেই আলোচনাটা রিসটু-র দিকে চলে যায়। জাপান বিশ্ব ফুটবলের বড় কোন শক্তিধর দল না। কিন্তু এশিয়ার এই দলটির ৮ নম্বর জার্সিধারি রিসটু ডোয়ানের কথা আলাদা ভাবে বলা যায়। তিনি এ আসরে যে খেলা উপস্থাপন করেছে তার আশ-পাশেও নেই মেসি বা নেইমার।

রিসটুর খেলা দেখা গেলে জার্মানিকে ২-১ গোলে হারানোর ম্যাচে, দেখা গেছে পুর্তগালকে ২-১ গোলে হারানো ম্যাচে। রিসটুর খেলা না দেখে কেউ তার সম্পর্কে বা তার ফুটবল যোগ্য নিয়ে ধারণা করতে পারবে না।

ইউরোপিয়ান ফুটবলের ভক্তরা হয়তো রিসটুকে এশিয়ার মেসি বলতে চাইবে না। কিন্তু এশিয়ার জায়েন্ট জাপানের রিসটুকে অবশ্য যে কোন এশিয়ান ‘এ অঞ্চলের মেসি’ বলতে দ্বিধা থাকবে না।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G